মাননীয়
চেয়ারম্যান সাহেব
৫নং হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ,
পটিয়া, চট্টগ্রাম।
বিষয়ঃ অভিযোগ
০১। মোহাম্মদ আবুল কাশেম, পিতা-মৃত নজির আহমদ, সাং-হাবিলাসদ্বীপ, ৯নং ওয়ার্ড,
-০২। মোঃ নুরম্নল আলম, পিতা-মৃত বোচন আলী, সাং-চরকানাই, ৫নং ওয়ার্ড, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম। -------------------বাদীগণ।
বনাম
০১। আহমদ ছফা, পিতা-মৃত সিরাজ মিয়া
০২। আলী হোসেন, পিতা-মৃত এজাহার মিয়া
০৩। আলাউদ্দীন, পিতা-মৃত নওশা মিয়া
০৪। মোসত্মাক মিয়া, পিতা-মৃত এনু মিয়া
০৫। সামশু মিয়া, পিতা-মৃত কালূ মিয়া
০৬। রাজা মিয়া, পিতা-ঐ, সর্বসাং-হুলাইন, ২নং ওয়ার্ড, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
---- -------বিবাদীগণ।
জনাব
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, অধীন বাদীগণ নিরহী ও শামিত্মপ্রিয় লোক হই। উক্ত বিবাদীগণ, দুষ্ট, লোভী ও কলহবাজ লোক হয়। তারা আইন-কানুন মানে না। উক্ত বিবাদীদের বিরম্নদ্ধে অধীন বাদীগণের অভিযোগ এই যে, আমরা বিবাদীগণের দাদার বোন সজ্জা খাতুন এর ওয়ারিশ হই। উক্ত সজ্জা খাতুন ১নং বাদীর নানী ও ২নং বাদীর দাদী হন। মরহুম সজ্জা খাতুন, স্বামী-মৃত আলতাফ মিয়া সাং-চরকানাই, পটিয়া এর ওয়ারিশ হিসেবে অধীন বাদীগণ বিবাদীগণের নিকট বাড়ী-ভিটা ও নালজমি হতে ২২(বাইশ) শতক জায়গা ওয়ারিশ সূত্রে ফতু প্রাপ্য হই। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীগণকে মৌখিকভাবে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও তারা অধীন বাদীগণ কে ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্য জায়গার ভাগ দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচারের মাধ্যমে অধীন বাদীগণের প্রাপ্য সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার জন্য আমরা আপনার পরিষদে বিচার প্রার্থী হইলাম।
অতএব মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে, উক্ত বিবাদীগণকে তলব পূর্বক দলিলপত্র ও খতিয়ান অনুযায়ী ন্যায় বিচার করিয়া অধীন বাদীগণের প্রাপ্য সম্পত্তির ন্যায্য ভাগ আমাদের দখলে বুঝাইয়া দেওয়ার নির্দ্দেশ দান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধীন বাদীগণকে চিরবাধিত করিতে মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।
তারিখঃপটিয়া
২২/০৩/১৮ বিনীত নিবেদক
০১। মোঃ আবুল কাশেম
০২। নুরম্নল আলম
’’তফশিল’’
মৌজা- হুলাইন থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম এর মহল ১৯৩৪নং তৌজির, আর এস জরিপের-১৯৩/২৪০-নং খতিয়ান এর ৬৩০/১৫৯৩/৬২৫/ দাগাদিও তৎসামিল বিএস ৮২৭ দাগের আন্দও ০২ শতক. এবং
বরাবর
চেয়ারম্যান সাহেব
৫নং হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ,
পটিয়া, চট্টগ্রাম।
বিষয়ঃ- অভিযোগ
০১। মোঃ অহিদুল আলম, পিতা-মৃত মোঃ নুরম্নল আলম, মাতা-=মোছাম্মৎ জুনু বেগম, সাং-রশিদাবাদ, ১নং ওয়ার্ড, শোভনদন্ডী, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম। ----বাদী।
বনাম
০১। জেসমিন আকতার খানম, পিতা-মৃত ছালামত আলী খাঁন, মাতা-মৃত মর্জিয়া বেগম চৌধুরী, সাং-হুলাইন, ডাকঘর-হুলাইন, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম। ---বিবাদী।
জনাব
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, অধীন বাদী পটিয়া, থানার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের একজন নিরীহ ও মামিত্মপ্রিয় লোক হই। উক্ত বিবাদী আমার স্ত্রী হন। অদ্য হইতে প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক সামাজিকভাবে আমাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমরা তিন বছর সুখে দাম্পত্য সংসার করিয়াছি। এর ফলশ্রম্নতিতে আমাদের একটি পুত্র সমত্মান জন্ম হয়, যাহার বর্তমান বয়স সাত মাস। আমি চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরীরত আছি। বিয়ের পর আমার স্ত্রী চাকুরী করার ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে আমি নিজে তদ্বির করে তাকে কেরাণী হাটে সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরীতে যোগদান করাই। আমারা স্বামী/স্ত্রী দুজনেই চাকুরীর সুবাদে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সাতকানিয়া-কেরানীহাটে সুবিধাজনক একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করার আগ্রহ ব্যক্স করি। কিন্তু আমার স্ত্রী তাতে রাজী হয় না। সে চায় তাহার পিতার বাড়ীতে থাকিয়া চাকুরী করতে এবং স্বামী-সমত্মান নিয়ে পিতার বাড়ীতে থাকতে। কিন্তু বিষটি আমার পক্ষে অসম্মানজনক এবং আমার চাকুরী ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা অসুবিধাজনক বিধায় আমি তাতে রাজী হয় নাই। এই নিয়ে আমরা স্বামী /স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও সম্পর্কের টানা-পোড়ন চলতে থাকে। আমি আমার স্ত্রীকে আমার সাথে ম্ভশুর বাড়ীতে অথবা ভাড়া বাসায় থাকতে পীড়াপীড়ি করি। পক্ষান্তরে সে জেদ করে পিতার বাড়ীতে থাকে। এভাবে সে দীর্ঘ প্রায় তের মাস যাবত পিতার বাড়ীতে থেকে গেছে। আমি গত ঈদুল ফিতর এর পূর্বে তাহাকে স্বামীর বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতে গেলে সে স্বামীর বাড়ীতে ফিরে যেতে চায় না। তার ভাইদেরকে বললে তারা জানায় তার বোন যেতে না চাইলে তারা জোর করে তাকে স্বামীর বাড়ীতে পাঠাতে পারবে না। এমতাবস্থায় আমি সামাজিক বৈঠকের কথা বললে আমার তৃতীয় সম্বন্ধী জয়নাল আবেদীন আমাকে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যেতে বলেন এবং ঈদের পর তার বোনকে বুঝাইয়া স্বামীর বাড়ীতে ফেরত পাঠানোর আশ্বাস দেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে আমি আমার স্ত্রীকে নিতে আসব কিনা জানতে চেয়ে আমার সম্বন্ধীগণের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে জানায় যে, তুমি বেড়াতে আসতে পার কিন্তু আমার বোন যাবে না। তাই আমি ঈদের সময় শ্বশুর বাড়ীতে যাই নাই। সম্প্রতি জানতে পারি যে, উক্ত বিবাদী কেরাণীহাট ব্যাংক এশিয়া শাখা থেকে আমার ডিপিএস জমা থেকে দুই লক্ষটাকা এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রাম থেকে দুই লক্ষ টাকা সহ আমার ডিপিএস এর জমা টাকা হতে মোট =৪,০০,০০০/- টাকা আমার অজামেত্ম উঠাইয়া নেয়। এছাড়াও উক্ত বিবাদী বিয়ের সময় উপহার স্বরূপ প্রাপ্ত পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার তার পিতার বাড়ীতে রেখে দেয়। এছাড়াও আমার স্ত্রী তার চাকুরীর বেতনের সমুদয় টাকা তার পিতার পরিবারের জন্য খরচ করে, আমাকে এক টাকা ও দেয় না। মূলত এসকল কারণে তার ভাই/ভাবীগণ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাকে পিতার বাড়ীতে রেখে দিয়েছে এবং সে ভাই/ভাবীদের প্ররোচনায় স্বামীর বাড়ীতে ফিরে আসতে চাইছে না। এমতাবস্থায় আমার স্ত্রী উক্ত বিবাদী আপোষে স্বামীর বাড়ীতে ফিরে না আসায় এবং তার ভাই/ভাবীগণ তাকে স্বামীর বাড়ীতে ফেরত পাঠানোর কোন গরজ মনে না করায় আমি নিরম্নপায় হইয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য জনাব নাজিম উদ্দীন কে নালিশ করি। মেম্বার সাহেব বিবাদীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আপোষে তাকে স্বামীর বাড়ীতে ফেরত পাঠানোর জন্য আমাকে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলেন। আমি দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করি। কিন্তু বিবাদী ও তার পরিবার মেম্বার সাহেবের কথায় কর্নপাত করে নাই। তাই একামত্ম নিরম্নপায় হইয়া ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সঠিক সমাধানের আশায় আপনার পরিষদে বিচার প্রার্থী হইলাম।
অতএব মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে, উক্ত বিবাদী ও তার অভিভাবকগণকে তলবপূর্বক ন্যায় বিচার করে আমার টাকা-পযসা ও স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়ার এবং বিবাদীকে সসম্মা্নে স্বামীর বাড়ীতে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধীনকে চিরবাধিত করিবেন।
তারিখঃ
১৩/০৩/২০১৮ইং বিনীত নিবেদক
মোঃ অহিদুল আলম
মাননীয়,
চেয়ারম্যান মহোদয় সমীপেষু
হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ।
পটিয়া,চট্টগ্রাম
আবেদনের তারিখ :
বিষয় : অবিজোগ
ক. অভিযোগকারীর নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা :
খ. বিবাদীর নাম পিতার নাম ও ঠিকানা :
গ. স্বাক্ষীগনের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা :
ঘ. ঘটনার স্থান ও সময় :
ঙ. সংক্ষেপে মোকদ্দমার বর্ণনা ও তাহার নায্য দাবী এবং প্রার্থীর প্রতিকার :-
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস